টাঙ্গাইলে ১০ ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইলে মহাসড়কে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর যানজট ও পরিবহন চলাচলে ধীরগতির অবসান হয়েছে। এর আগে রাত ১২টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনা, টোল আদায় বন্ধ, চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মহাসড়কের যানজট ও ধীরগতির সৃষ্টি হয়।
শনিবার (১৫) সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশে কোথাও যানজট আবার কোথাও ধীরগতির সৃষ্টি হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার পর মহাসড়ক স্বাভাবিক হয়। এখনও বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা হতে সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে মহাসড়কের এলেঙ্গা, ভুঞাপুর লিঙ্ক রোড, রাবনা বাইপাস এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, স্বাভাবিক দিনের মতোই পরিবহনগুলো কোন বাধা ছাড়াই চলাচল করছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কের কয়েকটি স্থানে পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে। এর আগে উত্তরবঙ্গ থেকে মহাসড়কে যানজট এড়াতে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো ওই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রায় পরিবহনের সংখ্যা বাড়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ও বেড়েছে। এতে টোল আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়কের যানজট ও ধীরগতির বিষয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলেন, রাতে ও ভোরে সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এতে এই ঘটনাগুলোতে হতাহত না হলেও সেতুর ওপর চাপ কমাতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে চালকদের ওভারটেক প্রতিযোগিতার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। যেটা বেলা ১১টার পর্যন্ত ছিল।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ভোর রাতে যানবাহন বিকল ও টোল প্লাজা কয়েকবার বন্ধ থাকার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অভিজিৎ ঘোষ/আরকে