ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে নাড়ির টানে প্রিয়জনদের কাছে ফিরছে মানুষ। ফলে চাপ বেড়েছে মহাসড়কে। শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ গতকালের তুলনায় আরও বেড়েছে। 

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে এই চাপের মধ্যেও যেন কোথাও যানজটের সৃষ্টি ও ঘরে ফেরা মানুষের জানমালের সমস্যা না হয় তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশ। তারা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়াও মোবাইল টিম, পেট্রোল টিম ও কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে কাজ করছেন। কোনো দুর্ঘটনা যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেকার ও অ্যাম্বুলেন্স। 

শনিবার (১৫ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকালের চেয়েও যানবাহন অনেকটা বেড়েছে। তবে অন্যান্য সময়ের মতোই একদম স্বাভাবিক গতিতে সব যানবাহন চলাচল করছে। যার ফলে এখন পর্যন্ত এই মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ ওয়াদুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোররাত থেকেই মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এরপর সকালে চাপ একটু কম ছিল। সকাল ৮টার দিক থেকে চাপ আবার বেড়েছে। তবে মহাসড়কের কোথাও কোনো ভোগান্তি নেই। সব গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। 

সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. জাফর উল্লাহ রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৮টার দিক থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ আবার বাড়ছে তবে যান চলাচল একদম স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহনের চাপ আরও বাড়লেও ঈদুল ফিতরের মতো এবারও সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হবে না বলে আশা করছি। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরকে