নাটোরে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে অনুমোদনহীন শিল্প ও বাণিজ্য মেলার আয়োজন শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। তবে রাতেই স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রশাসনকে সাথে নিয়েই মেলা কার্যক্রম চলবে। 

এর আগে স্থানীয় প্রশাসনের কোনও অনুমতি না পেয়েও শিল্প ও বাণিজ্য মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

শুক্রবার (১৪ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নাটোরের কানাইখালীতে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা শিল্প ও বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সাংবাদিকদের বলেন, শেখ রাসেলের নামে নির্মাণাধীন এই মাঠে ১ বছর আগে এবং ১ বছর পরে এর মধ্যে কোনো খেলা উপযোগী মাঠ হয়নি। এখানকার কাজ শেষ হতে আরও দেড় বছরের মতো সময় লাগবে। এখানে কাজ চলমান রয়েছে এর কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না, কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। এই মেলায় নারীদের তৈরি করা হস্তশিল্প তুলে ধরা হবে। এ মেলা অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটবে না।

এমপি শিমুল বলেন, এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আরেকটি আবেদন দিতে বলেছেন। মেলায় ডিসি থাকবেন, এসপি থাকবেন আমি নিজেও থাকব। সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও থাকবেন। আমরা নাটোরে সুন্দর ও শান্তি প্রিয় একটি মেলা উপহার দিতে চাই।

এবিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এর আগে শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কানাইখালী মাঠে এসে মেলা বন্ধের নির্দেশ দেন। এসময় আয়োজকরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব এবং ম্যাজিস্ট্রেট আসে ঘটনাস্থলে। সন্ধ্যায় মেলার আয়োজক জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি সোহেল রেজা সময় চাইলে শনিবার বিকেল ৩টার মধ্যে পুরো স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।

শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাহান সাথী বলেন, নির্মাণাধীন মিনি স্টেডিয়ামে মেলা আয়োজনের কোনও অনুমতি প্রশাসন দেয়নি। মেলার আয়োজককে আগামীকাল বিকাল ৩টার ভেতর স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযানে চলাকালেও বেশ কিছু সরঞ্জাম উচ্ছেদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অনুমতি না পেয়েও মেলা প্রাঙ্গণে বসানো হয়েছিলো নাগর দোলা, বিনোদনের নৌকা, পানির ফোয়ারা, নানা ধরনের রাইডসসহ বিভিন্ন পণ্যের শতাধিক স্টল। গেটের প্রবেশ মূল্য ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে রাখা হয়েছিল আলাদা আলাদা মূল্য। তবে নাটোরের সচেতন মহল এই মেলাকে জনগণের পকেট কাটা মেলা বলে মন্তব্য করছিলেন।

গোলাম রাব্বানী/পিএইচ