কক্সবাজার থেকে দেড়শ টন খাদ্যসামগ্রী ও আটকে পড়া দেড় শতাধিক মানুষ নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে এফবি বারো আউলিয়া নামে একটি জাহাজ। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭৫ টন খাদ্যসামগ্রী ও কোরবানির জন্য ৫টি গরু পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার,  চিকিৎসা সামগ্রী ও তিনজন মিডওয়াইফ দ্বীপটিতে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের খাদ্যপণ্যসহ প্রায় দেড়শ টন খাদ্যপণ্য যাচ্ছে। এতে আশা করছি দ্বীপের মানুষের এক মাস পর্যন্ত চলবে। 

এফবি বারো আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণের কারণে সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিনে বসবাসরত ১০ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুপুর ২টার দিকে জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। 

চট্টগ্রামে সিটি কলেজের ছাত্র সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা সাইফুর রহমান জানান, গত ঈদের পর এবার তিনি বাড়ি যাচ্ছেন। সেন্ট মার্টিন যাওয়ার একমাত্র নৌরুটে মিয়ানমারের গোলাগুলি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে খুবই প্রভাব ফেলছে। কারণ সেন্ট মার্টিনের মানুষদের নিত্যপণ্যের জন্য শতভাগ টেকনাফের ওপরে নির্ভর করতে হয়। 

চিকিৎসা করাতে এসে টেকনাফে আটকে পড়েছিলেন ইয়াহিয়া ও তার স্ত্রী-সন্তান। চিকিৎসা শেষে গত ৬ জুন সেন্ট মার্টিন ফেরার কথা থাকলেও ফিরতে পারেননি তারা। আজ জাহাজে করে ফিরছেন। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে যাত্রী নিয়ে অন্তত ৪টি ট্রলার আসে টেকনাফের সাবরাং মুন্ডার ডেইল নৌঘাটে। এপার থেকে ওইসব ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে সেন্ট মার্টিন যান আটকে পড়া শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। বঙ্গোপসাগরের বিকল্প চ্যানেল ব্যবহার করে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফের সাবরাং এসে পৌঁছায় ট্রলারগুলো।

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর