প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি ও যাত্রীবাহী লঞ্চ থাকায় এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজট না থাকায় সহজে ঘাট পার হতে পারছেন যাত্রীরা। 

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক(ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌপথ। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ঈদের সময় এই ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি আর যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে গেছে এই রুটে।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ হয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। 

অন্যদিকে ৩৩টি লঞ্চের মধ্যে পাটুরিয়ায় চলাচল করছে ১৯টি লঞ্চ আর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চলছে ১৪টি। রাজধানী ঢাকা, আশুলিয়া, সাভার নবীনগরসহ আশপাশের যাত্রীরা বাসে করে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসছেন। এরপর লঞ্চে ও ফেরির টিকিট কেটে নদী পার হচ্ছেন।

সাভার থেকে বাসে করে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছেন রাজু আহমেদ। তিনি জানান, সাভার থেকে সেলফি পরিবহনে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘাটে এসেছেন। মহাসড়কে যানজট না থাকায় বাসে ভোগান্তি হয়নি। ঘাটেও যানবাহন ও যাত্রী কম, তাই নদী পার হতে কোনো রকমের ভোগান্তি হবে না।

রাসেল নামে আরেক যাত্রী জানান, দুই বছর আগেও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এখন আর সেই চিত্র নেই। ঘাটে আসার পরপরই ফেরিতে বা লঞ্চে উঠতে পারছি। ঘাট পার হতে এখন আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, যাত্রীদের নিরাপদে নদী পারাপার করার জন্য ঘাট কর্তপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কোনো যাত্রী ও যানবাহনকেই বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ঘাটে আসার পরপরই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। ফলে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সোহেল হোসেন/আরএআর