চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে আল আমিন নামে (৩২) এক ব্যক্তি নিহত হন। এসময় পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন। নিহত ও আহতের ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৭৮ জনকে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ আসামি।

নিহত আল আমিন পুরানবাজারের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গুর ছেলে। গ্রেপ্তার ৫ আসামিরা হলেন- শহরের পুরান বাজারের সঞ্জয় বর্মণ (১৯), জাকির হোসেন (২৮), বাবুল ব্যাপারী (৪৪), ইয়াছিন মহব্বত (২৫) ও রিপন ইসলাম (২৮)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক মীর।

পুলিশ জানায়, আল-আমিন হত্যার ঘটনায় তার পিতা মজিদ খান ডেঙ্গু ১২ জুন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি নিতাইগঞ্জ রোডের বাসিন্দা সজিব মাঝি, দুই নম্বর আসামি তার পিতা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি ও তিন নম্বর আসামি তার বড় ভাই রাকিব। এই মামলায় ২৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে মোট ১৫০ জনকে।

এছাড়া একইদিন সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি কর্মচারীর ওপর আক্রমণের ঘটনায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় অপর মামলাটি করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল কুদ্দুস সরকার।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

গত ১১ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শহরের পুরানবাজার পলাশের মোড় মেরকাটিজ রোড ও নিতাইগঞ্জ রোডের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হলে আল-আমিন খান নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। এই ঘটনায় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আনোয়ারুল হক/পিএইচ