রংপুর মহানগরীর একটি কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করায় হাট ইজারাদারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে মহানগরীর বুড়িরহাটের ইজারাদার শরিফুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৃধা জানান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা গরুর হাটে বিক্রেতাদের কাছ থেকে কোন হাসিল আদায় করা যাবে না এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে হাসিল আদায় করতে হবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বুড়িরহাটে অভিযান চালাই। এ সময় হাতেনাতে ধরে ফেলি ইজারাদারের লোকজন নির্ধারিত ফি ৪০০ টাকার বদলে টাকা ৭০০ টাকা করে আদায় করছেন। পাশাপাশি নিয়ম না থাকলেও বিক্রেতাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করছেন।

বিষয়টি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর আইনে অপরাধ হওয়ায় ইজারাদার শরিফুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ায় কারাদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে।

তিনি জানান, গরুর হাটগুলোতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেখানেই হাসিল বেশি নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাবে সেখানেই জরিমানাসহ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইজারাদার শরিফুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে সব গরুর হাটেই হাসিল বেশি করে নেওয়া হচ্ছিল। আমরাও নিচ্ছিলাম। তবে ১ লাখ টাকা জরিমানা খুব বেশি হয়েছে। আমরা আর অতিরিক্ত হাসিল নেবো না।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ৮ জেলার ১ হাজার ৩০৩টি স্থায়ী এবং তিন শতাধিক অস্থায়ী গরুর হাট বসেছে।

হাটের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইজারাদার সিন্ডিকেট সিন্ডিকেট অবৈধভাবে ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতা ও বিক্রেতারা। প্রশাসনের চোখের সামনে এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলেও ব্যবস্থা নেওয়ার খুব একটা নজির দেখা যায় না।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/পিএইচ