সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ শেষ হচ্ছে না সাড়ে ছয় ঘণ্টাতেও
কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। যানজট ও বৃষ্টিতে ধীরগতির কারণে ঢাকা থেকে ফেনী ফিরতে সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ শেষ হচ্ছে না সাড়ে ছয় ঘণ্টায়ও।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ১২টার দিকে মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। তবে মধ্যরাতেও বাস কাউন্টারগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ভোগান্তি উপেক্ষা করেও নীড়ে ফিরছে তারা।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা থেকে আসা আজিজুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, মহাসড়কে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। ঢাকা থেকে বের হতেই অনেক সময় লাগছে। যানজটের কারণে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ফেনী এসেছি।
রেজাউল করিম নামে এক চালক বলেন, সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। উভয় লেনে ধীরগতি আছে। মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজ, মেঘনা ও দাউদকান্দি ব্রিজ পার হতেই বেশি সময় লাগছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে।
স্টারলাইন পরিবহনে চট্টগ্রাম থেকে আসা মো. রেদোয়ান নামে এক যাত্রী বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দেড় ঘণ্টায় ফেনী আসলেও আজকে চার ঘণ্টা লেগেছে। সড়কে গাড়ির চাপ বেশি। গাড়ি অনেক ধীরগতিতে চলছে।
মহিপালে চাঁপাই এক্সপ্রেস বাস কাউন্টারে দায়িত্বরত মফিজুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কাউন্টারে গাড়ি এসে পৌঁছেনি। যাত্রীরা অনেকে অপেক্ষা করতে করতে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। কিন্তু ঈদের সময় এমন হবেই। সড়কে যানজটের পাশাপাশি গাড়ির চাপও বেশি। আমাদের কিছু করার নেই।
মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি। তবে মহাসড়কের ফেনীর ২৬ কিলোমিটার অংশে যানজট নেই। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
তারেক চৌধুরী/এমএএস