গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বৃষ্টিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি ও ঈদযাত্রায় ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তার ভোগড়া বাইপাস এলাকা থেকে ময়মনসিংহমুখী দুই কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচলে  ধীরগতি তৈরি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেলে বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশের ভোগড়া বাইপাস থেকে ময়মনসিংমুখী দুই কিলোমিটার এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে পানি জমে যায়। এই মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। মহাসড়কের লেনগুলো পুরোদমে চালু না হওয়ায় মহাসড়কেজুড়েই যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকায় যাচ্ছেন মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কোনো বৃষ্টি ছিল না, বৃষ্টি আসবে এমন কোনো মেঘলা আবহাওয়াও ছিল না। বের হওয়ার সময় মনে করেছিলাম নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারব। বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতেই প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় পানি জমে গেছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পানি মাড়িয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাসে উঠতে হচ্ছে।

বাসচালক মোতালেব হোসেন বলেন, ময়মনসিংহ থেকে যাত্রী নিয়ে আব্দুল্লাহপুর থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে ফের ময়মনসিংহের যাত্রী তুলছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টিতে সব পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়েও যাত্রী পাচ্ছি না। মহাসড়কে পানির কারণে যাত্রীরা বাসের কাছে আসতে পারছেন না। আবার বাস নিয়ে মহাসড়কে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতেও দিচ্ছে না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) অশোক কুমার পাল বলেন, বিকেলে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের ভোগড়া বাইপাসে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বৃষ্টি যদি আর বেশি না হয় তাহলে আমরা পানি নিষ্কাশন করতে পারব। এখন পর্যন্ত ভোগড়া বাইপাস থেকে ময়মনসিংহমুখী এবং ঢাকামুখী লেনে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলে ধীরগতি রয়েছে। তাছাড়া সব জায়গার পরিস্থিতি ভালো আছে। তবে আর বৃষ্টি না হলে আশা করা যায়, ঘণ্টা দুয়েককের মধ্যে আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারব। 

তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের ১০টি রেকার কাজ করছে। যে কোনো গাড়ি বিকল হলে তাৎক্ষণিক আমরা সেখান থেকে সরিয়ে ফেলতে পারব। 

শিহাব খান/আরএআর