ফেনীতে সপ্তাহ না পেরোতেই ফের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। বুধবার (১২ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গত ২ জুন ২৬টি গরু ক্রয় করেন ব্যবসায়ী আবুল কালাম জিন্নাহ। মির্জাপুর এলাকার অস্থায়ী একটি খামারে সর্বশেষ গতকাল পর্যন্ত ১১টি গরু ছিল। রাত দেড়টার দিকে সশস্ত্র ডাকাতদল এসে তাদের দুইজনের ওপর হামলা করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবগুলো গরু গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিল। এ সময় ব্যবসায়ী আবুল কালাম জিন্নাহর সহযোগী দৌড়ে গিয়ে আশপাশের মানুষজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে এলে ডাকাতরা দুইটি গরু নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী আবুল কালাম জিন্নাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরুগুলো নিয়ে অস্থায়ী এ খামারে এক সহযোগীসহ অবস্থান করছিলাম। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে বৃষ্টির মধ্যে ১৪-১৫ জন ডাকাত এসে রামদা দিয়ে আমাদের আঘাত করে। আমার সহযোগী তাদের হাত থেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে আশপাশের মানুষজনকে ডাকাডাকি করে নিয়ে এলে ডাকাতদল দুইটি গরু নিয়ে চলে যায়। ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে এমন ক্ষতি পোষানো সম্ভব না।

স্থানীয় মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনা অবগত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফেনী-সোনাগাজী সড়কের লালপুল এলাকায় লোকজন দাঁড় করিয়ে ডাকাতদলকে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা অন্য সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায়। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব না। এ ছাড়া তারা অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিধায় পাহারা দিয়েও পশু রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সোনাগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। কিন্তু একাধিক সংযোগ সড়ক থাকায় তারা কৌশলে অন্য কোনো সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। গরু উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৮ জুন) ভোরে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পূর্ব জয়নারায়ণপুর গ্রামের খান অ্যাগ্রো ফার্মে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দাউদ খান নামের এক খামারির ১৩টি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

তারেক চৌধুরী/এমজেইউ