নিখোঁজের ৮ দিন পর মাদরাসাছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
রংপুরের পীরগাছায় নিখোঁজের আট দিন পর রুবেল মিয়া (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেল ও সোহাগ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের মদকপাড়া গ্রামের একটি ধানখেত থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ভগ্নিপতি হাসান আলীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রুবেল মিয়া ছোট কল্যাণী তালতলা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় রুবেল। এর পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রুবেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা বেলাল হোসেন গত ৩ জুন দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওই ডায়েরির সূত্র ধরে নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেলকে সন্দেহভাজন হিসেবে সোমবার (১০ জুন) দুপুরে আটক করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদশেষে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, তার ছেলে রুবেল মিয়া স্থানীয় বড়দরগা বাজারে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য ২ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় গত ৩ জুন দুপুরে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায় বলেন, নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলী ওরফে আপেল। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে রুবেলকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে আসল রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান তিনি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরকে