মানবপাচারকারী চক্রের হোতা জিসাও সুহুই (৪৩) নামের এক চীনা নাগরিককে আটক করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। জেলার পানছড়ি উপজেলার ভুক্তভোগীদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (৯ জুন) ভোরে ঢাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। তবে তার সহযোগী সুমি চাকমা হোলি (৩৬) পলাতক রয়েছে।

রোববার বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আটক জিসাও সুহুই এবং পলাতক সুমি চাকমা হোলি ঢাকার উত্তরায় ১২নং সেক্টরের একটি বিলাসবহুল বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকেন। অভিযুক্ত সুমি চাকমা বিভিন্ন মাধ্যমে খাগড়াছড়ির পানছড়ির এক কিশোরীকে (১৭) চীনে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে সে রাজি হয় এবং তার বান্ধবীকে (১৬) জানালে সেও চীনে যেতে রাজি হয়। সুমির কথা অনুযায়ী তারা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উত্তরার ফ্লাটে পৌঁছায়। সেখানে গেলে তাদের মোবাইল কেড়ে নেয় এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে ঘরে আটকে রাখে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে অভিযোগ জানালে পুলিশ তদন্তে নামে।

পরে আজ রোববার ভোরে ঢাকার উত্তরার ওই ফ্ল্যাট থেকে জিসাও সুহুই নামের চীনা নাগরিককে আটক করে পুলিশ। এ সময় ফ্ল্যাটে আটকে রাখা পাঁচ পাহাড়ি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের দুইজন খাগড়াছড়ির এবং তিনজন রাঙামাটির বাসিন্দা। কিশোরীরা ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী বলে জানা গেছে। এদিকে বিকেলে আটক নাগরিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মোহাম্মদ শাহজাহান/এমজেইউ