সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী ইলিয়ট ব্রিজে ছাদ খোলা প্রাইভেটকারে চড়ে ভিডিও করার সময় লোহার পাইপের সঙ্গে আঘাত লেগে মৃত স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল আজিম তনুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (৮জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা কলারোয়া গোপিনাথপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা লিয়াকত আলীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তিনি জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আরএস ফাহিম চৌধুরীর টিমের সদস্য ছিলেন।

এর আগে শনিবার রাত ৯টা ১৮ মিনিটে স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া গোপিনাথপুর গ্রামে পৌঁছায়। তনুর মরদেহ পৌঁছানোর পর সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তার মা সালেহা খাতুন ছেলের মরদেহ দেখে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। পরে রাত ১১টার দিকে কলারোয়া গোপিনাথপুর পেট্রোল পাম্পে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

কলারোয়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ আবদুল আজিজের ইমামতিত্বে জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আরএস ফাহিম চৌধুরী, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাতক্ষীরার জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার সাকিব জামানসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে তার দাফন কাজ শেষ করা হয়।

জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তনুর মামা আজিজুল ইসলাম বলেন, ভাগ্নের মরদেহ নিয়ে আসা যে কত কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না। গতকালও সারাদিন আমরা একসাথে ছিলাম, কত কথা হয়েছে। এখন আমার বলার কিছু নেই। আমার ভাগ্নে যদি কারোর মনে কষ্ট দিয়ে থাকে তার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি সবার কাছে।

তনুর আত্মীয় -স্বজনরা জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে তনু ছিলেন ছোট। বাবা মৃত লিয়াকত আলী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। মা সালেহা খাতুনও ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। বড় ভাই সাগর থাকেন মালয়েশিয়ায়।

কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, তনুর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে তনুকে দেখার জন্য অনেক মানুষ ছুটে আসে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, তনু অনেক ভালো ছেলে ছিল। তনু খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার মৃত্যুর সংবাদ পাই। ২ মাস আগে তার বাবা মারা গেছে। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। 

মোহাম্মদ মিলন/আরকে