ব্যবসায়ীকে হত্যা করে ট্রাকসহ লিচু ছিনতাই করেছিল তারা
ট্রাকসহ লিচু ছিনতাই করে মহাসড়কের পাশে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখা হয় লিচু ব্যবসায়ী আব্দুল গাফফারকে। দুদিনের ব্যবধানেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার দিয়া সাতুরিয়া গ্রামের মো. ফজলুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (২৮), একই উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মো. হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আজিজুল হক (৪৮), কাঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৪৫), বড় বাড়িয়া গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে মো. মতিউর রহমান (৪৩), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বিটিবাড়ী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মো. উজ্জল হোসেন (৩৪) টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুটিবাড়ী চাঁনপুর গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে মো. সুজন মিয়া (২৯)।
অন্যদিকে, নিহত লিচু ব্যবসায়ী আব্দুল গাফফার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২ এর অধিনায়ক বলেন, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। লিচু ব্যবসায়ী গাফফার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের উল্লাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুন রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়া এলাকা থেকে আব্দুল গাফফারের হাত-পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে উল্লাপাড়া থানার পুলিশ। এ সময় আহত অপর ভিকটিম হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি একজন লিচু ব্যবসায়ী। পাবনার দাশুড়িয়া এলাকায় লিচু কিনে অজ্ঞাতনামা (আব্দুল গাফফার) অপর এক লিচু ব্যবসায়ীর সঙ্গে ট্রাকযোগে সিরাজগঞ্জের দিকে আসছিলেন। ট্রাকে আরও ৬-৭ জন ছিল, যারা গরু ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাটোরের কাছিকাটা টোলপ্লাজা পার হলে ওই ব্যক্তিরা তাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারপিট শুরু করে। এরপর উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়া এলাকায় মহাসড়কের পাশে দুজনকে ফেলে দিয়ে ট্রাকসহ লিচু নিয়ে চলে যায় তারা। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাফফারকে মৃত অবস্থায় ও অপর ভিকটিম হেলাল উদ্দিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ।
শুভ কুমার ঘোষ/এমএএস