ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি হোসেন আল ফারাবি জয়ের গুলিতে নিহত ছাত্রলীগকর্মী আয়াশ রহমান এজাজের জানাজায় শত শত মানুষের ঢল নেমেছিল।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

জানাজার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি এক বক্তব্যে আয়াশ রহমান এজাজের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই ইজাজের বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার (৬ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালে ভোট কেন্দ্রে জয় ও এজাজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে আয়াশ রহমান এজাজ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মিছিলে থাকা অন্যরা দ্রুত এজাজকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে সে পথেই মারা যান।

নিহত আয়াশ রহমান এজাজ কলেজপাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে। এজাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও জেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।

মাজহারুল করিম অভি/এমএ