ফাঁকা ব্যালট বাক্স, অলস সময় পার করছেন কর্মকর্তারা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে নওগাঁ সদর, মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে একযোগে এই তিন উপজেলার ৩২৯টি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
শেষ ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থীসহ মোট ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন উপজেলার মোট ভোটার ৯ লাখ ২২ হাজার ১৮৮ জন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই কেন্দ্রগুলো ছিল প্রায় ভোটার শূন্য। শহরের সরিষাহাটের মোড়ে সরকারি বসির উদ্দিন মেমোরিয়াল কো-অপারেটিভ (বিএমসি) মহিলা কলেজ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় গেলে দেখা যায়, ওই কেন্দ্রের নারী ভোটারদের ১নং ভোটকক্ষের ব্যালট বক্সটি তখনও শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘ সময়েও ভোটার না আসায় কক্ষে বসে অলস সময় পার করছেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং এজেন্টরা।
সকাল ১০টায় কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১০টা বাজার কিছুক্ষণ আগে ওই কক্ষে ১টি ভোট পড়েছে। সবমিলিয়ে এখানকার ৬টি ভোটকক্ষে দুই ঘণ্টায় ২৭টি ভোট পড়েছে। আমাদের এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ হাজার ৪৬৮ জন। শহরের নারীরা হয়তো এখনো রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত আছেন। তাই অনেকেই এখনো আসতে পারেননি। বেলা বাড়লে হয়তোবা ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনী, মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে। তাই ভোটারদের ভোট দিতে আসতে কোনো ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
মিডিয়া সেলে পাঠানো এক বার্তায় জেলা প্রশাসক বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত সময়ে জেলার সদর উপজেলায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ, মহাদেবপুর উপজেলায় ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মান্দা উপজেলায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রয়েছে।
আরমান হোসেন রুমন/আরকে