ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩ জুন ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১২নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুই গ্রুপই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃ্ক্ত। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ বিশ্বাস এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক বিশ্বাসের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বাগুটিয়া গ্রামের ফারুক বিশ্বাসের সমর্থক আব্দুর রশিদ বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর পক্ষে ও ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাসের সমর্থক কোবাদ বিশ্বাস পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াত কলম প্রতীকের শামীম হোসেন মোল্যার পক্ষে অবস্থান নেন। এ নিয়ে বাগুটিয়া গ্রামে ভোট পরবর্তী সময়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। 

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কোবাদ বিশ্বাস ও আব্দুর রশিদের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দীর্ঘ সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সংঘর্ষ পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শৈলকুপা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংঘর্ষে খয়বর বিশ্বাস, বাবুল বিশ্বাস, মতিয়ার রহমান, রাজন হোসেন, মিটুল হোসেন, রজব আলী, আজিজুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাগুটিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এরই মধ্যে বাগুটিয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর