প্রেমের টানে আমেরিকা থেকে ফেনীতে প্রেমিকের কাছে ছুটে এসেছেন এক নারী। সোমবার (৩ জুন) শহরের একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
 
আমেরিকান ওই নারীর নাম সেন্ডোরা ব্রোক্স। তিনি আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের বাসিন্দা। তার প্রেমিক ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে জামশেদ আলম রাজু। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেন্ডোরা ব্রোক্সের সঙ্গে পরিচয় হয় রাজুর। প্রেমের সম্পর্কের পর চলতি বছর দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সেজন্য গতকাল রোববার (২ জুন) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন প্রেমিকা সেন্ডোরা ব্রোক্স। সেখানে রাজু তাকে স্বাগত জানান। রাজুর সঙ্গে বিয়ের আগে সেন্ডোরা ব্রোক্স আদালতের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর তার বর্তমান নাম রাখা হয়েছে লামিয়া। 

এ ব্যাপারে জামশেদ আলম রাজু ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার সকালে তিনি দেশে আসার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী আমেরিকার একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। তিন সপ্তাহ পর তিনি আবার আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। বর্তমানে আমি এলাকায় ব্যবসায় করছি। আমাদের জন্য সবার দোয়া কামনা করি।

মাহমুদুর রহমান রাসেল নামে রাজুর এক বন্ধু ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতাম। ওই মেয়ে দেশে আসার পর আজ পরিবার ও স্বজনদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। 

আমিরাবাদ ইউনিয়নের সদস্য গোলাম মাওলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমেরিকান এক নারীর সঙ্গে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি। এর আগে কখনো আমাদের এলাকায় কেউ বিদেশি বউ নিয়ে আসেনি। বিয়ের পর তারা ফেনী শহরেই থাকছে। তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো।

তারেক চৌধুরী/আরএআর