পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে সিলেটের অনেক জায়গা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৭০ জন মানুষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার লাখো মানুষ। এদিকে শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে বন্যার পানি দেখতে সিলেটের সার্কিট হাউজ এলাকায় সুরমা নদীর তীরে ভিড় করতে দেখা গেছে উৎসুক জনতাকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার বিকেল থেকে ক্বীন ব্রিজের নিচে ও সার্কিট হাউসের সামনে বন্যার পানি দেখতে ভিড় করেন কয়েক শ মানুষ। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে ওই এলাকা। এ সময় অনেককে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।

বন্যার পানি দেখতে আসা হাফিজ উদ্দিন নামে একজন বলেন, আমরা বন্ধু মিলে এখানে বন্যার পানি দেখতে এসেছি। সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় দিন দিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জায়গা থেকে নদীর স্রোত খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। 

দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকার বাসিন্দা শিহাব আহমদ বলেন, ছুটির দিনে আমরা প্রায় সিলেট সার্কিট হাউজে বেড়াতে আসি। আজ এসেছি বন্যার পানি দেখতে। এ জায়গায় পানি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি নদীতে প্রচুর স্রোত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারার দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে অমলসিদ পয়েন্টে ২০৩ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের সুরমা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেট অঞ্চলে পানি বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে ভারতের মেঘালয়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত। যদিও গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃষ্টিপাত অনেকটা কমেছে। তবে এখনো সুরমা নদী হয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট নগরীর সুরমা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

মাসুদ আহমদ রনি/এএএ