পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালে তেঁতুলিয়া নদীর মধ্যবর্তী চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে সাড়ে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এ কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষ সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়েছেন। 

উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা জানান ,ঘূর্ণিঝড় রেমালে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের খানকা বাজার থেকে দক্ষিণে ছালাম হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার, দিয়াকচুয়া খেয়াঘাট থেকে স্লুইস গেট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এবং চর নিমদি খেয়া ঘাট থেকে দক্ষিণে ৩ কিলোমিটারসহ মোট সাড়ে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জলোচ্ছ্বাসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। 

এ ছাড়াও চরব্যারেট ফারুক খানের বাড়ি থেকে সেকান্দার দর্জি বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি বিলিন হয়ে গেছে। এর আগে সিডরে প্রাণহানীসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি স্থানীয়রা দীর্ঘ বছরেও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এরপর আবার ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডব। একেরপর এক মানুষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি রেমালের তাণ্ডবে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা স্থানীয়দের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও রাস্তাগুলো দ্রুত নির্মাণ ও মেরামত না করা হলে এরপর যেকোনো দুর্যোগ এলে এ ইউনিয়নটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্তরা এ ইউনিয়নের চারদিকে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আসম ফিরোজ বলেন, আমি চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে এক ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি। আমি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করবো। 

আরিফুল ইসলাম সাগর/এমএএস