সংগৃহীত

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কুমিল্লার চারটি উপজেলার তিনটিতেই জিতেছেন এমপির স্বজনরা। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে ব্যালটে ভোট শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন স্ব স্ব উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।

তাদের মধ্যে মুরাদনগর উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে ড. আহসানুল আলম কিশোর, দেবিদ্বার উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের আপন ছোটভাই মামুনুর রশিদ এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহেরের আপন ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি নির্বাচিত হয়েছেন। বুড়িচং উপজেলা থেকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় সংসদ সদস্য আবু জাহেরের ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি ঘোড়া প্রতীকে ৪৩ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭০ ভোট।

মুরাদনগর উপজেলার সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে ড. আহসানুল আলম কিশোর আনারস প্রতীকে ৮৪ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুড়িচং উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দার ঘোড়া প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাছির হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩ ভোট।

দেবিদ্বার উপজেলায় বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের আপন ছোটভাই মামুনুর রশিদ আনারস প্রতীকে ৯২ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের স্ত্রী শাহিদা আক্তার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৮০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই একটি সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কুমিল্লার চারটি উপজেলায় ৩০ শতাংশের বেশি ভেট পড়েছে। বিজয়ীদের পরে সরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

আরিফ আজগর/আরকে