রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৭৫ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মো. আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনু মোল্লা নামের এক বৃদ্ধ। জীবনের শেষ বয়সে এসে তার বিয়ের পিঁড়িতে বসা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় আনু-সুফিয়া দম্পতির বিয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা তাদের শুভকামনা জানাচ্ছেন।

আনু মোল্লা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শামসু মাস্টারেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পাত্রী সুফিয়া বেগমের বাড়ি রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায়। আনু মোল্লা তিন সন্তানের জনক হলেও সুফিয়া বেগমের কোনো সন্তান নেই বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, রোববার (২৬ মে ) আগের পক্ষের ছেলে-মেয়ে ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পাত্রীর সুফিয়ার বয়স (৪০) বছর। সন্তানদের সম্মতিতে শেষ বয়সে একাকিত্ব মোচনের চেষ্টায় নিজেই পাত্রী দেখে পছন্দ করেন আনু মোল্লা। মো. আনোয়ার মোল্লার এটা তৃতীয় বিয়ে। তিনি এর আগে দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী মারা গেছে প্রায় একযুগ আগে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে ছয় বছর আগে। সেই স্ত্রীদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

আনু মোল্লার প্রতিবেশী মঈনুল হক  জানান, আনু মোল্লা এর আগে দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী মারা যান তিন বছর আগে। এরপর তিনি নিজের পছন্দে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তবে পারিবারিক কলহের জেরে এক বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। একাকিত্ব ঘোচাতে তিনি তৃতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাবার একাকিত্বের কথা চিন্তা করে সন্তানরাও তৃতীয় বিয়েতে মত দেন। দুই মাস আগে তালাকপ্রাপ্ত সুফিয়া বেগমকে পছন্দ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন আনু মোল্লা।

তিনি জানান, দুই মাস আগে বিয়ে হলেও বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি দেখে অনেকেই এ দম্পতিকে শুভকামনা জানাচ্ছেন।

আনু মোল্লা বলেন, ছেলে-মেয়েদের আমার বিয়ের কথা বলেছিলাম। তারা আমাকে মেয়ে দেখতে বলে। আমি মেয়ে দেখে পছন্দ করে বাড়িতে এনে বিয়ে করি।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল বলেন, এ ঘটনাটি আমি জানতাম না। তবে ফেসবুকে বিয়ের ছবি দেখেছি।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমএ