সিল মারা ব্যালটের ছবি তোলাসহ বিভিন্ন অপরাধে ছয়জনের সাজা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালে সিল দিয়ে ব্যালটের ছবি তোলা, জালভোট দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে আশুগঞ্জে পাঁচজন ও বাঞ্ছারামপুরে একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার নিষেধ করা সত্ত্বেও মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার দায়ে পোলিং এজেন্ট কাজী মাহবুবুর রহমানকে (৩৮) হাতেনাতে আটক করা হয়। এছাড়া উপজেলার আন্দিদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে এসে গোপন কক্ষে ব্যালটের ছবি তোলার দায়ে তামিম সরকারকে (২৪) হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে উভয় যুবককে দণ্ডবিধির-১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে একই উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মো. জহুরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তিকে 'দণ্ডবিধি, ১৮৬০' এর ১৭১-চ ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরও একদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকরামুল হক নাহিদ ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন।
এছাড়া বড়তল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে নিজের সিল দেওয়া ব্যালটের ছবি তোলায় আমির হোসেনকে (৩৮) তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট প্রদানের চেষ্টাকালে মো. আলামিন মিয়া (৩৬) ও মো. নজরুল ইসলাম(৩৪) দুই যুবককে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে দু'জনকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৭১(চ) ধারায় সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
বাঞ্ছারামপুর এবং আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কোথাও গোলযোগের কোনো ধরনের চেষ্টা করা হলে, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে নির্দেশনা দেওয়া ছিল।
মাজহারুল করিম অভি/এমএএস