পানিবন্দি মানুষকে পানি থেকে উদ্ধার করা সওয়াবের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। সেই সঙ্গে ডিএনডি অঞ্চলে জলাবদ্ধতার চিরস্থায়ী সমাধান না হওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, মসজিদ, বাড়িঘর সবকিছুর মধ্যে পানি ঢুকে গেছে। ভিডিও দেখেই বমি এসেছে আমার। আমার ছেলে গতকাল খাবার টেবিলে বলেছে, আব্বু তুমি তাড়াতাড়ি যাও, সমস্যাটা শেষ করো। মসজিদের ভেতরেও বাথরুমের ময়লা পানি ঢুকে গেছে। আমি সরি, দুঃখিত, লজ্জিত। 

বুধবার (২৯ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীরা তাকে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়মিতভাবে জানিয়েছেন উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ভেবেছিলাম এবার আমরা সুফল পাব। মানুষ মনে করে সাথে সাথে পানি নামবে, কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে পানি নামতে যদি আবার বৃষ্টি না হয়। এই এলাকার বাড়িঘরগুলো রাস্তা থেকে ২-৩ ফুট নিচে। পানির ফ্লো কখনো ওপরে উঠে না, নিচের দিকে যায়। এ কারণেই এখানে জলাবদ্ধতা। আমরা এলজিইডির কাছে একটা স্পেশাল প্রজেক্ট দিয়েছি। সেটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হবে। 

এলজিইডি বিভাগ ব্যর্থ কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, এলজিইডি বিভাগ ব্যর্থ নয়। এলজিইডি মন্ত্রী অত্যন্ত মেধাবী। হয়তো নিচের লেভেল থেকে উনি অবধি যায়নি বিষয়টি। সেনাবাহিনী ও এলজিইডির লোকেরা এখানে এসে দেখে বলেছে নরমালভাবে পানি সরানো যাচ্ছে না, অন্য উপায়ে কীভাবে পানি সরানো যায় সেজন্য ২টা স্পেশাল প্রজেক্ট করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেওয়ার ঘোষণাও দেন শামীম ওসমান। সেই সঙ্গে যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখতে জনসাধারণকে আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, ফতুল্লা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া,  নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।

শিপন সিকদার/আরএআর