নীলফামারীর ডোমারে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় উপজেলা পরিষদের হল রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া মনজুর আহমেদ ডনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে নীলফামারী পৌরসভার কালিতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মনজুর আহমেদ ডন উপজেলার পশ্চিম বোড়াগাড়ী এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে। তিনি নীলফামারী জেলা পরিষদের ডোমার উপজেলার সদস্য বলে জানা গেছে।

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন আলী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করছি। ওই আসামি পালিয়ে নীলফামারীতে অবস্থান করছিল। অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৮ মে রাত ৯টার দিকে ডোমার উপজেলা পরিষদের হল রুমে পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ডোমার থানায় মামলা করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ডোমার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে (কন্ট্রোল রুম) ফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করা হলে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।

শরিফুল ইসলাম/আরএআর