ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝালকাঠির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে সাপের বাসস্থান তলিয়ে যাওয়ায় উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। এমনকি বাসা-বাড়িতেও ঢুকে যাচ্ছে সাপ। তাই আতঙ্ক বিরাজ করছে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে।

এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে ভয়ে দিনাতিপাত করছেন। অনেকে বাড়তি সতর্কতার জন্য হাঁটাচলার সময় হাতে লাঠি রাখছেন। যাতে সাপ দেখলে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা বেলায়েত মোল্লা বলেন, ঘরের চার পাশে পানি। বাগানে জাল ফালানো ছিলো তাতে একটা সাপ আটকে আছে। এছাড়াও পানিতে সাপ সাঁতরাতে দেখেছি। কখন ঘরে উঠে অবস্থান নেয় আমরা সেই ভয়ে আছি। বিষাক্ত কি না, তা বুজতে পারিনি। তবে সাপটির রং ছিল কুচকুচে কালো।

বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাদুরতলা এলাকায় পানি ঢুকেছে। ওই এলাকায় সাপের আতঙ্ক অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। নদী তীরবর্তী হওয়ায় অনেক পরিত্যক্ত জমিতে ঝোপঝাড় রয়েছে। তাতে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের অভয়াশ্রম। ওইসব স্থান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাপগুলো লোকালয়ে উঠে আসছে। এ নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত এলাকার মানুষরা।

ঝালকাঠি সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেবুন্নেছা বলেন, এদিকে যেসব সাপ আছে, তার অধিকাংশই নির্বিষ। তবুও কোনটা বিষাক্ত আর কোনটা নির্বিষ তা সাধারণ মানুষ জানে না। তাই সব ধরনের সাপ থেকেই সতর্ক থাকা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সাপ পানিতে সাঁতার কাটে কিন্তু বসবাস করতে পারে না। উঁচু স্থানের ঝোপঝাড়, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর, কাছারি ঘর, পরিত্যক্ত ঘরে বাসা বাঁধে সাপ। সেখানেই প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটায়। শুকনো মরিচ পুড়ে ঘুরিয়ে নেওয়া এবং সাইট্রিক এসিড ব্যবহার করলে সেখানে সাপ থাকতে পারে না। সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। নিরাপত্তার স্বার্থে সাপকে তাড়িয়ে দিতে হবে কিন্তু মারা যাবে না।

মো. নাঈম হাসান ঈমন/এমএ