ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁদপুর ফেরিঘাটের দুইটি পন্টুন। বর্তমানে কোনো বিপদ সংকেত না থাকলেও পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে এখনো ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে রক্ষা পেতে চাঁদপুরসহ কয়েকটি জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়। এরপরই শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা ১১টায় শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটের সহ ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদপুরসহ অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতাধীন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। মহাবিপদ সংকেতের কারণে গত রোববার (২৬ মে) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে চাঁদপুর ফেরিঘাটের দুইটি পন্টুনের তার ছিঁড়ে ঘাট থেকে অনেক দূরে চলে যায়। পন্টুন দুইটি ঘাটে ফিরিয়ে এনে যথাস্থানে বসিয়ে ফেরি চলাচলের উপযোগী করতে সময় প্রায়োজন। তাই বর্তমানে কোনো বিপদ সংকেত না থাকলেও পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে এখনো ফেরি চলাচল শুরু হয়নি। পন্টুন ফেরি চলাচলের উপযোগী হলে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করবে।

শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটের সহ ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পন্টুন ঘাটে এনে যথাস্থানে বসানোর কাজ চলমান রয়েছে। পল্টুন দুইটি যথাস্থানে বসানোর পরে নিয়মিতভাবে ফেরি চলাচল করবে।

সাইফ রুদাদ/আরকে