দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে যৌন হয়রানির অভিযোগে দুই শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গতকাল বিকেলে বিরামপুর উপজেলার একইর মঙ্গলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, ওই বিদ্যালয়ের আইসিটির সহকারী শিক্ষক ফরিদ হোসেন ও সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) মতিয়ার রহমান শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় প্রায়ই ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। তারা বিষয়ভিত্তিক পাঠদান বাদ দিয়ে অশালীন ও আপত্তিকর বিষয়ে কথাবার্তা বলেন এবং কৌশলে ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।

এ বিষয়ে এক ছাত্রী গত ২৩ মে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাওসার হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল এবং উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা প্রশাসন।

রোববার তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে দুপুরে চলে আসেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার না করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

একইর মঙ্গলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই-আজম মোবাইলে বলেন, বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা  এ ঘটনার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন,  বিষয়টি নিয়ে  এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পাওয়ার পর  তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন আজ সকালে ওই বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে গেলে শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা আজকেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বরখাস্তের দাবি জানান। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার না করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।  

ইমরান আলী সোহাগ/এনএফ