ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব শুরু হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ো হাওয়াসহ মষুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ৯টা থেকে তাণ্ডব শুরু হয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ভয়াবহ রূপ আরও বাড়ছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় উপকূলের অধিকাংশ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কলাপাড়ায় বিভিন্ন নদীতে রাতে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে দিনের থেকেও রাতে পানির তীব্রতা অনেক বেশি। এতে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ইতোমধ্যে কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, মঞ্জুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, হাসনাপাড়া, চন্দপাড়া, পশুরিবুনিয়া, ছোট পাঁচ নম্বর, বড় পাঁচ নম্বর ও বানাতিসহ নয়টি গ্রামের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে ২৪টি গ্রামের ঘর-বাড়ি।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) কুয়াকাটা ও লতাচাপলী এরিয়ার সমন্বয়ক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।  

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২০টি মুজিব কিল্লাতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে পেরেছি। যেসব এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে সেসব এলাকার সকলকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করেছি। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বর্তমানে কলাপাড়ার উপকূলবর্তী এলাকাগুলো অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। 

এসএম আলমাস/এমএএস