বরগুনায় রেমালের তাণ্ডব শুরু
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব শুরু হয়েছে বরগুনায়। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ো হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় উপকূলের অধিকাংশ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
রেমালের তাণ্ডবে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, বেড়িবাঁধ ভেঙে বরগুনা সদরসহ প্রায় পাঁচটি এলাকায় পানি প্রবেশ করে পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার গাছ উপরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কেল্লায় প্রায় চার লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারবে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ২০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়াদের পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়োজিত রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা।
আরও পড়ুন
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনার বিভিন্ন নদীতে রাতে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে দিনের থেকেও রাতে পানির তীব্রতা অনেক বেশি। এতে উপকূলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. খাইরুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দিনের তুলনায় রাতে জোয়ারের পানি বেশি বৃদ্ধি পাবে। এতে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটারেরও বেশি পরিমাণ পানি স্বাভাবিকের তুলনায় নদীতে বিপদসীমার উপর থেকে প্রবাহিত হতে পারে।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকেই বরগুনায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জানিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। এ ছাড়া দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই আমরা অধিকাংশ মানুষকেই আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি।
মো. আব্দুল আলীম/এমজে