প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল গতি বাড়িয়ে উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়তে শুরু করেছে বাগেরহাট উপকূলে। বিকেল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া শুরু করেছে উপকূলবাসী।

ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সতর্ক করতে প্রচারণা চালিয়েছেন কোস্ট গার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তবে সারাদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষজন কম গেলেও সন্ধ্যার দিকে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। 

শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী বগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে আসা শামসুন্নাহার বেগম বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম ঝড় অন্যদিকে চলে যাবে, এজন্য দিনের বেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসিনি। যতই সময় বাড়ছে আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাড়ির সব কিছু গোছগাছ করে রেখে সন্ধ্যার ভেতর আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি।

সাউথখালী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া আব্দুল মালেক ফরাজী বলেন, শুনছি বন্যা আসতেছে পরিবারের সকলকে নিয়ে জীবন বাঁচাতে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসছি। পরিস্থিতি যা দেখতেছি তাতে মনে হয় বাড়ি থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হবো। 

রায়েন্দা এলাকার আতিউর রহমান বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাই এবার ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত শোনার পর পরিবার এবং গবাদিপশু সঙ্গে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছি। রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবো। 

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগরের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বৃদ্ধি করে উপকূলের একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে। বিকেল ৩টায় মোংলা বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল। সন্ধ্যার পর ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেগে উপকূল অতিক্রম করার শঙ্কা রয়েছে।

শেখ আবু তালেব/আরএআর