বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। এ অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন উপকূলের মানুষ। 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিজের ফুফু ও বোনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে তাদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন মো. শরীফ নামে এক যুবক। পথে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শরীফ অনন্তপাড়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীফের ফুফু মাতোয়ারা বেগম কাউয়ার চর এলাকায় বসবাস করেন। ওই বাড়িতে শরীফের বোনও বেড়াতে গিয়েছিল। দুপুর ১টার দিকে অনন্তপাড়া থেকে শরীফ তার বড় ভাই ও ফুফাকে নিয়ে বোন ও ফুফুকে কাউয়ার চর থেকে নিয়ে আসতে যান। এ সময় সমুদ্রের পানিতে কাউয়ারচর এলাকা পাঁচ থেকে সাত ফুট প্লাবিত অবস্থায় ছিল। নৌকা না পেয়ে কিছু জায়গায় পানিতে হেঁটে আর কিছু জায়গায় সাঁতার কেটে তারা কাউয়ারচরে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক জায়গায় সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে শরীফ হারিয়ে যান। এক ঘণ্টা পর ওই স্থান থেকে শরীফের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কামাল হাসান রনি বলেন, শরীফ তার বোন ও ফুফুকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। নৌকার ব্যবস্থা না থাকায় সাঁতরে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে এক জায়গায় সমুদ্রের স্রোত তাকে টেনে নিয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষণিক অনেক খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি।

মহিপুর থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এসএম আলমাস/এমজেইউ