ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

সরেজমিনে বরগুনার বড়ইতলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে পানির উচ্চতা বেড়ে তলিয়ে গেছে ফেরির গ্যাংওয়ে। এছাড়া অনেক এলাকায় বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই হয়েছে নদীর পানি। তলিয়ে গেছে বাইরের নিম্নাঞ্চল। এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ভেতরের এলাকায় পানি প্রবেশ না করলেও জোয়ারের পানির চাপ আরো বৃদ্ধি পেলে প্লাবিত হতে পারে এসব এলাকা। এতে বেড়িবাঁধ টপকে বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন অধিকাংশ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

বড়ইতলা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকালকের তুলনায় আজ জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এলাকার বেড়িবাঁধ নিচু হওয়ায় জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ টপকে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।  

একই এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বেড়িবাঁধ টপকে পানি ভেতরে প্রবেশ করে ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে আছি। এছাড়া আমাদের এলাকায় একটি মাত্র সাইক্লোন শেল্টার তাতে এলাকার সবাই এক সঙ্গে আশ্রয় নিতেও পারবে না। 

এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক খাইরুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিনে তুলনায় স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে বরগুনায় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা প্রতি ঘণ্টায় পানি পরিমাপ করছি। এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক জোয়ারের তুলানায় প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার পরিমাণ পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

আব্দুল আলীম/আরকে