বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। শনিবার (২৫ মে) রাতে মোংলা বন্দর ও আশপাশের এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দরের  সহকারী গণসংযোগ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মনির।

তিনি বলেন, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত পাওয়া মাত্র মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের মোট ছয়টি জাহাজ নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জাহাজ আগমন-বহির্গমন, জাহাজের পণ্য ওঠানামা, পরিবহন ও নৌযান (কার্গো, কোস্টার, বার্জ) চলাচল বন্ধ থাকবে। 

মনিরুল ইসলাম মনির আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দরের হারবার বিভাগে খোলা কন্ট্রোল রুম থেকে দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলোকেও নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্দরের নিজস্ব উদ্ধারকারী নৌযানও।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগরের আবহাওয়াবিদ হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। মোংলা বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। রাতের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া ও বাতাসের পরিমাণ বাড়তে পারে। সময় বাড়ার সাথে সাথে সংকেত আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। 

শেখ আবু তালেব/আরএআর