পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, আতঙ্কে উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। চলছে বৃষ্টি ও বাতাস। ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থেকে হঠাৎ পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উপকূলবাসী। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চলছে মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা।
বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি শনিবার (২৫ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরই মধ্যে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সংকেত আরও বাড়তে পারে।
বিজ্ঞাপন
ফলে উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কলাপাড়ায় ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত করেছে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
দূর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ৩ হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার বার্তায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ায় খাদ্য ও শুকনা খাবার মজুত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। কুয়াকাটা হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যদি বেশি প্রয়োজন হয় তবে হোটেল-রিসোর্টগুলো খুলে দেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল সম্পর্কে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল রুম,মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে দ্রুত গাছ অপসারণের জন্য আলাদাভাবে ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হবে। এছাড়াও দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে আসা মানুষদের জন্যও আমরা সব রকম প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি। তবে সকলকে সচেতন হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এসএম আলমাস/আরএআর