ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জরুরি সভা হয়েছে। সভায় কর্মকর্তাদের নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, স্বেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। এছাড়া খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।

শনিবার (২৫মে) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের কার্যালয়ে শহীদ জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রস্তুতির তথ্য শোনার পর বলেন, সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি হোটেল মোটেল জোনও যেন প্রয়োজন মোতাবেক দুর্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ায় সেই অনুরোধ করেন। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে জরুরি রেসকিউর জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ধস এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে তাদের সরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের বলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খাবার এবং খিচুড়ির ব্যবস্থা করতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হামুন, মোখাসহ অনেক ঘূর্ণিঝড় আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি। এবারও আশা করছি সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। প্রান্তিক মানুষদের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে নিরাপদে রাখার জন্য সকলকে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়াও রাতে রিচার্জেবল লাইট ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলেন।

জেলা সিপিপির উপ-পরিচালক বলেন, সচেতন রয়েছে ৭টি উপজেলায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক পুরো কক্সবাজার জেলা-উপজেলায় কাজ করছে। ১৩শ ভলান্টিয়ার কক্সবাজারে রয়েছে। ৪ নম্বর সিগন্যাল পাওয়ার পরপরই প্রচারণায় বেরিয়ে পড়বে স্বেচ্ছাসেবক দল। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের ৮৮০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কর্মী রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৬শ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২শ' সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য।

দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে ৪৮৬ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ঢেউটিন ২৩ বান্ডিল, টিনের সঙ্গে গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরির অর্থ ৬৯ হাজার মজুত রয়েছে। তবে শুকনো খাবার মজুত নেই।

সাইদুল ফরহাদ/এমএএস