কলাপাড়ায় প্রস্তুত ১৫৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০ মুজিব কিল্লা
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১টায় উপজেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২০টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখার কথা জানান উপজেলা প্রশাসন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপান্তরিত হয়ে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, সিপিপির উপ-পরিচালক আসাদ উজ জামান, দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরসহ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় দুর্যোগকালীন সময় ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুতের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও শুকনা খাবার মজুদ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া কুয়াকাটার বহুতল ভবন দুর্যোগের সময় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। দুর্যোগে করণীয় সম্পর্কে প্রচার ও মানুষকে সচেতন করতে ৩ হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
এর আগে পটুয়াখালী ৪ কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী আসনের সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিদর্শনে যান। এ সময় প্রতিমন্ত্রী অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পরিদর্শন-কালে প্রতিমন্ত্রী পূর্বাভাস প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান। এ সময় দেশের দুর্যোগ পূর্বাভাস ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিমন্ত্রী সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
এসএম আলমাস/এএএ