মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বিদেশি জিনিসপত্রের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী দুবাইফেরত প্রবাসী শরীফ বেপারিকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত অবস্থায় হাসনা বেগম (৩২) নামে ওই গৃহবধূকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে তার‌ প্রবাসী স্বামী শরিফ। এ সময় তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এদিকে, মৃত হাসনার গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলানোর চিহ্ন রয়েছে বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

মৃত হাসনার স্বজনেরা জানান, প্রবাসী শরীফ বেপারি দুই বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে ১৫ বছর আগে তিনি হাসনা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। হাসনা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ায় এক ছেলে সন্তান নিয়ে তিনি শরীফ বেপারির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার সেই ছেলে বর্তমানে প্রবাসী ।

পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, নিহত হাসনা বেগম মুন্সীগঞ্জ শহরের খালইষ্ট এলাকায় পাকিজা টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। গত দুইদিন আগে দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসেন স্বামী শরীফ বেপারি। আসার সময় দুই পরিবারের জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। সেই জিনিসপত্র প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে কীভাবে ভাগ-বাটোয়ারা করবেন, তা নিয়ে আজ (শুক্রবার) বিকেলে শরীফ বেপারি ও হাসনা বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে হাসনা বেগমকে গলায় ওড়না বা কাপড় পেঁচিয়ে 'হত্যা' করেন প্রবাসী শরিফ।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এসএম ফৈরদৌস জানান, নিহতের গলার চারদিকে দড়ি দিয়ে ঝুলানোর চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযুক্ত প্রবাসীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক রাখা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ব.ম শামীম/এমজে