বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শাহারুল ইসলাম (৩৮) নামের চাকরিচ্যুত এক বিজিবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। শুক্রবার (২৪ মে) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৫ সালের ৩ মে ল্যান্স নায়েক পদে বিজিবিতে যোগদান করেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে শাহারুল ইসলাম। বিজিবিতে কর্মরত থাকাকালীন বেসামরিক ব্যক্তিদের যোগসাজশে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের বিজিবিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর ছয় মাসের বেসামরিক জেলসহ চাকরিচ্যুত হন শাহারুল।

চাকরিচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দালালদের মাধ্যমে বেসামরিক বিভিন্ন মিডিয়া তৈরি করে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীকে প্রলুব্ধ করার জন্য নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেকে পরিচয় প্রদানের জন্য বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করতেন। এই ভুয়া পরিচয়ের আড়ালে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং অন্যান্য সংস্থায় অবৈধভাবে চাকরির কথা বলে সাধারণ জনসাধারণের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, র‍্যাব-১৩ এর সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল শাহারুল ইসলামের প্রতারণার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে পলাশবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে চাকরিচ্যুত ল্যান্স নায়েক শাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল হিসেবে সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের আইডি কার্ড, বিভিন্ন পরীক্ষার নিয়োগপত্র, খালি স্ট্যাম্প এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক জব্দ করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহারুল ইসলাম চাকরিতে থাকা অবস্থা থেকেই তিনি এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি বিজিবি হতে চাকরিচ্যুত হন বলে স্বীকার করেছেন। তার সঙ্গে শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। তাদের ব্যাপারেও অনুসন্ধান চলছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ