নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণায় যাওয়ার সময় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল হালিম।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামি ধরার সুবিধার্থে আটকদের নামপরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সেরাজনগর এম.এ.পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আছরের পর এবং চরসুবুদ্ধি ঈদ গাঁ মাঠে বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সুমনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

নিহত সুমন মিয়ার বাবা হাজী নাসির উদ্দিন বলেন, আজকে ১৪ বছর পর আমার পুত্রবধূ সন্তান জন্ম দিতে চলেছে। এ নিয়ে আমার ছেলের কত স্বপ্ন ছিল। সে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছেলেহারা বাবা হিসেবে আমার কথা বলার আর কোনো ভাষা নেই। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

এর আগে বুধবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের মামদিরকান্দি এলাকায় গণসংযোগে যান চশমা প্রতীকের প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ও তালা প্রতীকের প্রার্থী সুমন মিয়া। দুপুর দেড়টার দিকে মামদিরকান্দি এলাকায় দুজনের সমর্থক মুখোমুখি হয়। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সুমন মিয়ার প্রচারণার গাড়ি থেকে আবিদ হাসান রুবেল ও তার সমর্থকদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। এ সময় রুবেলের সমর্থকরা সুমন ও তার সমর্থকদের ঘেরাও করে ফেলে। সুমন দৌঁড়ে পালিয়ে পাশের মীরেরকান্দি এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। রুবেল সমর্থকরা পিছু নিয়ে সুমনকে আটকে মারধর করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে সংঘর্ষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহত হওয়ায় আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় রায়পুরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

তন্ময় সাহা/এমজে