নাটোরের গুরুদাসপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মনোয়ার হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী ব্রিজ ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মনোয়ার হোসেন ওই এলাকার মো. আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আটকরা হলেন- মো. আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছা. হাসনা বেগম।

নিহত মনোয়ার হোসেনের ভাই আব্দুল মোমিন (২২) জানান, কুমারখালী এলাকার প্রতিবেশী হায়দার হোসেন (২২), তার বাবা আশরাফুল ইসলাম ও মা হাসনা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল মনোয়ার হোসেনের। বৃহস্পতিবার পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আশরাফুল ইসলাম, হাসনা বেগমসহ তাদের পরিবারের সকলে মনোয়ার হোসেনের পথরোধ করেন। একপর্যায়ে আশপাশে মানুষজন না থাকায় সেই সুযোগে বাড়ি থেকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ভাইকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করলে তিনি এগিয়ে যান ভাইয়ের কাছে। সেখানে গেলে তার ওপরও অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপর স্থানীয় এক যুবকের সহযোগিতায় গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাগর হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন মনোয়ার হোসেন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার ভাই চিৎকার করছে। তখন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রাজিব হোসেন বলেন, আঘাতে জখম হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গোলাম রাব্বানী/এমজেইউ