ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতি আদনান হোসেন অনু।

ফরিদপুরে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন চলাকালে জেলা ছাত্রদল সভাপতি আদনান হোসেন অনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের গোয়ালচামট এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পৌর কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাহউদ্দিন।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের ৪ জুলাই ফরিদপুর সদরের বায়তুল আমান এলাকায় সবুজ মোল্লা (২৮) নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি ছিলেন আদনান হোসেন। সেই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফরিদপুর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পৌর কমিউনিটি অডিটোরিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর মহানগর ছাত্রদল ও বিকেলে জেলা ছাত্রদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রদলের কর্মী সভা শুরু হয় বিকেল ৪টার দিকে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করার কথা ছিল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেনের। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে আদনান হোসেন পৌর অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করলে কোতয়ালী থানার একদল পুলিশ অডিটোরিয়াম ঘিরে ফেলে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ আদনান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বাধা দেয়। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়ার সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। পরে পুলিশ আদনানকে থানায় নিয়ে যায়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাহউদ্দিন বলেন, সবুজ হত্যার ঘটনাটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। সেই হত্যা মামলার অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও এজাহারনামীয় প্রধান আসামি আদনান হোসেন এতোদিন পলাতক ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৪ জুলাই রাতে ফরিদপুর পৌরসভার এ এফ মজিবর রহমান সড়কে বায়তুল আমান বটতলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা সবুজ মোল্লাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ জুলাই নিহত সবুজের বাবা শহীদ মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায়  জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়।

জহির হোসেন/এএএ