আক্তারুজ্জামান শাহীন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের (কালীগঞ্জ) সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশি তদন্তে আক্তারুজ্জামান শাহীন নামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর নাম উঠে এসেছে। আক্তারুজ্জামান শাহীন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের আসাদুজ্জামান কাঠু মিয়ার ছোট ছেলে ও কোটচাঁদপুর পৌরসভা মেয়র শহীদুজ্জামান সেলিমের ভাই।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আক্তারুজ্জামান শাহীন পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। মাঝে মধ্যে তিনি কোটচাঁদপুর আসেন। কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে আক্তারুজ্জামান শাহীনের একটি বাগান বাড়ি রয়েছে। আমেরিকা থেকে আসলে সেখানে বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দিতেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন ঢাকা পোস্টকে জানান, ওই বাগান বাড়িতে বিভিন্ন সময় নামীদামি অনেক লোক আসা যাওয়া করেন। রাতে সেখানে মদের আড্ডা আর সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে আমোদ প্রমোদ করা হয়।

আক্তারুজ্জামান শাহীনের সেজো ভাই কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বা আমাদের পরিবারের সঙ্গে তার (আক্তারুজ্জামান শাহীন) কোনো যোগাযোগ নেই। কোথায় কী ব্যবসা করে কিছুই জানি না। ২-৩ বছর পর পর দেশে আসে। মাঝে মধ্যে ভারতে যায়। পরিবারের কারো কাছে কিছুই বলে না।

তিনি বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত মেনে নিতে পারছি না বা বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমার ভাই এমন একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন যেহেতু তদন্তে  তার নাম আসছে, মোবাইলে দেখছি, সেহেতু তদন্ত হোক। সত্যিই যদি আমার ভাই দোষী হয় তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে যা সাজা হয় হবে। আমরা আইনের ঊর্ধ্বে না।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ট বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। এরপর গত ২২ মে কলকতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে তার খুন হওয়ার বিষয়টি জানায় ভারতীয় পুলিশ। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর