সিইসিকে সশরীরে ভোট প্রত্যক্ষের আহ্বান করা প্রার্থী জামানত হারালেন
নোয়াখালীর চাটখিলে নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় জামানত হারালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) সশরীরে চাটখিল এসে ভোটগ্রহণ প্রত্যক্ষ করার আহ্বান জানানো আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম আজাদ খান।
জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, চাটখিল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে উপজেলার ৭০টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন। এতে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ন্যূনতম ১০ হাজার ২৮২ ভোট না পেয়ে জামানত খোয়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম আজাদ খান। এর আগে কয়েক দফায় তিনি নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) সশরীরে চাটখিল এসে ভোটগ্রহণ প্রত্যক্ষ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া ভোটের দিন অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জন করেন তিনি।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির মোট ৬৫ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনারস প্রতীকের প্রার্থী জেড এম আজাদ খান পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী খায়রুল বাসার পেয়েছেন ৫৭৪ ভোট।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই বিধি অনুযায়ী জেড এম আজাদ খানকে জামানত রক্ষার জন্য পেতে হতো ন্যূনতম ১০ হাজার ২৮২ ভোট। তিনি তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ তাকে খোয়াতে হচ্ছে।
জেড এম আজাদ খানের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া নিয়ে চাটখিল উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা শাকিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকে উন্মুক্ত করেছেন সেই জন্য অনেকে প্রার্থী হয়েছে। আজাদ খান কোনো দলীয় পদে নাই। সে নিজেকে আলোচনায় আনার জন্য যা করার তাই করেছে। তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেড এম আজাদ খান মোট প্রদত্ত ভোটের ৭ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাই তার চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
হাসিব আল আমিন/আরকে