ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর সেনবাগে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম দিপু।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত ১০টায় বেসরকারিভাবে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিসান বিন মাজেদ।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেনবাগ উপজেলায় ৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর ও এমপিপুত্র সাইফুল ইসলাম দিপু। নয়টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৭ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৯ হাজার ৭০২টি। এতে আনারস প্রতীকে এমপিপুত্র সাইফুল ইসলাম দিপু পেয়েছেন ৩২ হাজার ১৩২ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিসান বিন মাজেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাইফুল ইসলাম দিপু ১৮ হাজার ৯৬২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। ২০০৪টি ভোট বাতিল হয়েছে। ভোট পড়েছে ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

বিজয়ী হয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাইফুল ইসলাম দিপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ভোটাররা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন তাই তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আমার স্বপ্ন ছিল সেনবাগের উন্নয়ন। সেই স্বপ্ন আমি বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সেনবাগ উপজেলা হবে স্মার্ট উপজেলা। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জয়-পরাজয় থাকবেই। ফলাফল যেমনই হোক সেটি সবার মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ