কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে করা এক ভিডিওতে একজন যুবককে ২০ টিরও বেশি ভোট দিতে দেখা গেছে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের ব্যালটে ভোট দেওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে জাল ভোট দেওয়া ওই যুবকের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনগাড়ী গ্রামের শহীদ তিতুমীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে প্রকাশ্যে সাদা (চেয়ারম্যান পদে) ও গোলাপী (ভাইস চেয়ারম্যান) রঙের ব্যালটে ভোট দিচ্ছেন। পরপর ২০টির অধিক ব্যালট পেপারে তিনি সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলে চলে যান। টি শার্ট ও জিনস পরা ওই যুবক ভোটকক্ষের ভেতরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সামনেই সিল মারতে থাকেন। এ সময় দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পুলিশদের তাকে কিছু বলতে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, ওই ঘটনার সময় আমি নামাজ পড়ছিলাম। কেন্দ্রে নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন পুলিশ। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনসার বলেন, আমি যত দূর জানি প্রিসাইডিং অফিসার জাল ভোটগুলো বাতিল করেছেন।

আমবাড়িয়া ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। কেউ অভিযোগও দেয়নি। আমবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

প্রসঙ্গত, মিরপুর উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৬০। এর মধ্যে ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৯০ পুরুষ ভোটার, ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৯ মহিলা ভোটার এবং ১ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

রাজু আহমেদ/এএএ