লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেন।

চিঠি থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে রামগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে এমপি আনোয়ার খানের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষপাতিত্ব করার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. ইমতিয়াজ আরাফাত। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসিকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ আরও চারটি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আরাফাত বলেন, এমপি আনোয়ার খান আচরণবিধি ভঙ্গ করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর (মোটরসাইকেল) পক্ষে ভোট করছেন। ১৭ মে বিকেল ৫টার দিকে আমাকে সমর্থন দেওয়া এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে নোয়াগাঁও বাজার থেকে গাড়িতে তুলে নেন এমপি। পরে তাকে গাড়িতে করে উপজেলা শহরের খান টাওয়ারে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে দেওয়ান বাচ্চুর পক্ষে কাজ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসেন। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে আমি রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।

এর আগে ১৬ মে অভিযোগের ভিত্তিতে এমপি আনোয়ার খানকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিতে রিটার্নিং অফিসার প্রিয়াংকা দত্ত চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানান। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে পরদিন রামগঞ্জ উপজেলা শহরে এমপি আনোয়ার খানের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

রিটার্নিং অফিসার প্রিয়াংকা দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইমতিয়াজ আরাফাত এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, রিটার্নিং অফিসারের চিঠি এখনো আমি হাতে পাইনি। চিঠি পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এসএসএইচ