চাঁদপুরে ভোটের দুই দিন আগে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
অনুকূল পরিবেশ নেই- এমন অভিযোগ এনে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া । রোববার (১৯ মে) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২১ মে। ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া । তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রচারণার শুরু থেকে মাইকিং, পোস্টারিং (মার্কা) ও বিভিন্ন উঠান বৈঠক করছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া বলেন, আমি চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের পরিবারটি চাঁদপুরে আওয়ামী পরিবার হিসেবে স্বীকৃত। আমিসহ আমার প্রতিটি ভাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। এই সংগঠন আমাদের প্রাণের সংগঠন।
তিনি বলেন, আমি বিগত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুর সদর উপজেলা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি। গণতন্ত্র অর্থবহ করতে এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার জন্যই আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণ। এবার ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় প্রতীকবিহীন এবং নির্দলীয় হওয়ায় আমি এবারের নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হই। আমার প্রতীক হচ্ছে মোটরসাইকেল।
মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমরা পাঁচজনই একই দলের। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রশাসন আমাদের প্রার্থীদের নিয়ে আচরণবিধিমালা সংক্রান্ত সভা করেছে, সে সভায় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিতে আশস্ত হয়েছিলাম এ নির্বাচনে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে। আচরণবিধির ব্যাপারে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাঠ পর্যায়ে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কোনো কোনো প্রার্থী প্রচারণা ও গণসংযোগে একের পর এক আচরণবিধি লংঘন করে যাচ্ছেন। শোডাউন পাল্টা শোডাউন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলছেন। যা আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। অথচ তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে সদর উপজেলার নির্বাচনী পরিবেশ সৌহার্দ্যের পরিবর্তে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশের দিকে চলে যাচ্ছে । তাতে অনেকের জানমালও হুমকির সম্মুখীন। এমতাবস্থায় ভোটের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার মতো আমার জন্য অনুকূল পরিবেশ নেই। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আনোয়ারুল হক/আরএআর