রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হাতিয়া থানার মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার অধ্যাপক মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (৮৬)। 

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় হাতিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর কৈলাশ গ্রামের নিজ বাড়িতে ছোট ছেলের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

বিকেল সাড়ে ৫টায় হাতিয়া দ্বীপ কলেজের মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান ও জাতীয় পতাকা দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

জানা গেছে, হাতিয়া দ্বীপের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠতম সহকর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন হাতিয়া দ্বীপের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। এছাড়া জনসেবায় সম্পৃক্ত থেকে নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে হাতিয়া আসনের এমপি হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও দীর্ঘ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।  

তার জানাজাসহ গার্ড অব অনার প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আশিক আলী অমি, হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস চাকমা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিসান আহমেদ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ। 

মরহুমের বড় ছেলে হাতিয়া পৌরসভার মেয়র কেএম ওবায়েদ উল্লাহ বিপ্লব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। আমার ছোট ভাই টিপুর কবরের পাশে বাবাকে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী। এসময় তিনি বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

হাসিব আল আমিন/এসএম