এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু
সারাদেশে স্বাদে ও রসে এগিয়ে দিনাজপুরের লিচু। টুকটুকে লাল রঙ আর রসালোর স্বাদের জন্য দিনাজপুরের লিচুর কদর সর্বত্র। এর মধ্যে বেদানা লিচুর চাহিদা সব থেকে বশি। মৌসুম এলেই এই লিচুর জন্য অপেক্ষায় থাকেন সবাই।
জানা গেছে, ৭ থেকে ১০ দিন পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু। গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লালচে গোলাপি ও সুবজ রঙের লিচু। তবে এখনো অতিরিক্ত তাপদাহে গাছেই লিচু নষ্ট হাওয়ার আশঙ্কা করছে চাষিরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে বাগানের গাছের গোড়ায় পানি ও লিচুর গাছে ছিটানো হচ্ছে কীটনাশক।
বিজ্ঞাপন
দিনাজপুর চাল ও লিচুর জন্য বিখ্যাত। তবে লিচুর রাজ্য হিসেবে দিনাজপুরের আলাদা সুনাম রয়েছে। ১৩টি উপজেলাতেই কম বেশি লিচুর আবাদ হয়। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সদর উপজেলার মাসিমপুর, উলিপুর, আউলিয়াপুর, মহব্বতপুর, বিরলের মাধববাটি, করলা, রবিপুর, রাজারামপুর, মহেশপুর, বটহাট এবং চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলায়। মূলত লিচু চাষের জন্য উপযোগী এ অঞ্চলে লিচু চাষে কৃষকের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।
সদর উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামের লিচুচাষি ইয়াকুব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার দুটি বাগানে শতাধিকের বেশি লিচু গাছ আছে। প্রতেকটি গাছে লিচুর ফলন মোটামুটি গতবছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বাজরে তুলতে পারব। আশা করছি এবার লিচুর দাম ভালো পাব।
চিরিরবন্দর উপজেলার গলাহার গ্রামের কৃষক দিপক রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। গতবার লিচু বিক্রির আগে তাপমাত্র বেশি থাকায় অনেক লিচু গাছে নষ্ট হয়ে গেছে। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে আগে থেকে লিচু গাছের গোড়ায় পানি ও লিচুর গায়ে পানি স্প্রে করছি। এখন পর্যন্ত ভালো আছে। আর সপ্তাহ খানেক পরে বাজারে তুলতে শুরু করব। শেষ পর্যন্ত যদি লিচু ভালো থাকে তাহলে আশা করছি গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহারা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দিনাজপুরে লিচু বাজারে আসে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। জেলার ১৩টি উপজেলায় লিচুর চাষ হলেও চিরিরবন্দর বিরল ও সদর উপজেলায় সবচেয় বেশি লিুচ চাষ হয়। এ উপজেলায় প্রায় ৪৭৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। আগাম জাতে লিচুর হিসেবে বাজারে আসবে মাদ্রাজি ও বোম্বাই তারপরে আসবে বেদানা, চায়না থ্রি ও কাঠালি। জেলায় তাপপ্রবাহ বেশি থাকায় লিচু গুটির ক্ষতি হয়েছে। লিচু যেন গাছে নষ্ট না হয় সেজন্য মাঠ পার্যায়ে কৃষকদের গাছের গোড়ায় ও লিচুর গাছে বেশি বেশি পানি স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ইমরান আলী সোহাগ/আরকে